বর্তমান বিশ্বসভ্যতা যে কয়টি মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন, মাদকাসক্তি তার মধ্যে অন্যতম। মাদকের ভয়াবহ ছোবলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যুবসমাজ। বিঘ্নিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন। মাদকদ্রব্য হচ্ছে সেসব বস্তু যা গ্রহণের ফলে স্নায়ুবিক বৈকল্যসহ নেশার সৃষ্টি হয়। সুনির্দিষ্ট সময় পর পর তা সেবনের দুর্বিনীত আসক্তি অনুভূত হয় এবং কেবল সেবন দ্বারাই সে তীব্র আসক্তি (সাময়িক) দূরীভূত হয়। এর কুপ্রভাব ও ভয়াবহতা মারাত্মক। বাংলাদেশে যেসব মাদকদ্রব্যের সেবন সর্বাধিক সেগুলো হলো গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন, রেকটিফাইড স্পিরিট, মদ, বিয়ার, তাড়ি, পঁচুই, ঘুমের ওষুধ, প্যাথেড্রিন ইনজেকশন ইত্যাদি। এসব মাদকদ্রব্য গ্রহণ করে নেশা সৃষ্টিকে মাদকাসক্তি বলা হয়। যেসব পরিবারে পারিবারিক বন্ধন শিথিল, মা-বাবা, ভাই-বোনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা কম, সেসব পরিবারের সদস্যরাই মাদকাসক হয়ে থাকে। বাংলাদেশে অধিকাংশ মাদকাসক্তের গড় বয়স ১৮-৩২ বছর। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। কারণ, এ সময়টিই জীবনের সোনালি সময়। এ সময়ই মানুষ পরিবার, দেশ জাতি তথা বিশ্বের জন্য বেশি শ্রম দেয়। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার এবং চোরাচালানের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী এর ব্যাপক প্রসার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে। অকালে ঝরে যাচ্ছে বহু তাজা প্রাণ। মাদকের নিষ্ঠুর ছোবলে এবং অংকুরেই বিনষ্ট হচ্ছে বহু তরুণের সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। মাদকদ্রব্য তরুণ সমাজের এক বিরাট অংশকে অকর্মণ্য ও অচেতন করে তুলেছে। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার অবক্ষয় ঘটাচ্ছে মূল্যবোধের। ফলে সুস্থ সামাজিক বিকাশ, সুন্দর পরিবেশ ও ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং সামাজিক ও জাতীয় জীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমাদের যুবসমাজকে ও মাংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য মাদকাসক্তি নিরাময় ও প্রতিরোধ আন্দোলনে সকলকে আসতে হবে। এর পূর্বশর্ত হিসেবে ধুমপান ও মাদকবিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে। সরকারি মহল থেকে করে গণমাধ্যম, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, সমাজকর্মী, সমাজবিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদসহ সকল শ্রেনী মানুষের সক্রিয় অংশ গড়ে তুলে এ বিশ্বকে সবার বাস উপযোগী করে তুলতে হবে।
দেখিলাম এ কালের আত্মঘাতি মৃঢ় উন্মত্ততা , দেখিনু সর্বাঙ্গে তার বিকৃতির কদর্য বিদ্রুপ । একদিকে স্পর্ধিত ক্রুরতা, মত্ততার নির্লজ্জ হুংকার , অন্যদিকে ভীরুতার , দ্বিধাগ্রস্ত চরণবিক্ষেপ, বক্ষে আলিঙ্গিয়া ধরি । কৃপণের সতর্ক সম্বল-সন্ত্রস্ত প্রাণীর মতাে। ক্ষণিক গর্জন-অন্তে ক্ষীণ স্বরে তখনই জানাই। নিরাপদ নীরব নম্রতা।(সারাংশ লিখুন)
অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা: যাদের হৃদয়ে কোনাে প্রেম নেই, প্রীতি নেই, করুণার আলােড়ন নেই, পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া। যাদের গভীর আস্থা আছে আজো মানুষের প্রতি, এখনাে যাদের কাছে স্বাভাবিক বলে মনে হয় । মহৎ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা শকুন ও শেয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয়।(সারাংশ লিখুন)
আমি যে দেখিন তরুণ বালক উন্মাদ হয়ে ছুটে কী যন্ত্রণায় মরিছে পাথরে নিস্ফল মাথা কুটে। কণ্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে বাশি সঙ্গীত হারা, অমাবস্যার কারা। লুপ্ত করেছে আমার ভুবন দুঃস্বপনের তরে তাই তাে তােমার শুধুই অশ্রুজলেযাহারা তােমার বিষাইছে বায়ু নিভাইছে। তব আলাে, তুমি কী তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কী বেসেছ ভাল?(সারাংশ লিখুন)
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?